Monday, February 25, 2013


Swami Adbhutananda

Swami Adbhutananda, familiarly and affectionately known as Latu Maharaj, was a true mystic. Through the careful training and divine influence of his Guru, Sri Ramakrishna, this unsophisticated village boy became an illumined saint. Latu’s lack of formal education made him unique among Ramakrishna’s disciples. Perhaps because his mind was uncluttered by intellectualism and not trained to doubt, he absorbed the instructions of the Master with unquestioning simplicity. Once the Master told him in an ecstatic mood, “one day gems of Vedas and Vedanta will pour forth from your lips.”

Latu was born in the family of a poor villager. His parents could not make both ends meet. Young Latu came to the city and was hired a servant in a calcutta household. His employer was one of the first disciples of Sri Ramakrishna. He loved to speak about the Master which enkindled Latu’s passionate love for God. Latu eagerly waited for an opportunity to see the Master. One day his employer took him to Dakshineswar. Immediately, the Master asked him, “Where did you get the boy? I see some holy signs in him.” In this first meeting itself, Master touched Latu and the boy went into ecstatic state. After his meeting, Latu lost his interest to work. He longed to come to Dakshineswar. At Dakshineswar Latu began a life of rigorous spiritual discipline under the Master’s guidance, coupled with continual service to him. He patterned his life on absolute obedience to the Guru. Latu’s whole life was extraordinary. His single-minded approach to God was wonderful in every way, and he was quite unique among the disciples of Sri Ramakrishna. Vivekananda therefore gave him the monastic name Swami Adbhutananda.

 

স্বামী অদ্ভুতানন্দবিহারের ছাপরা জেলার কোন এক গ্রামে জনৈক মেষ-পালকের গৃহে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম-সাল, তারিখ বা তিথি সবকিছু অজ্ঞাত। জীবিকা অর্জনের জন্য তিনি কলিকাতায় আসেন। শ্রীরামকৃষ্ণের গৃহীভক্ত রামচন্দ্রের গৃহে তিনি কাজ করিতেন। তাঁহার কাজে সন্তুষ্ট হইয়া রামচন্দ্র তাঁহাকে সস্নেহে লালটুনামে ডাকিতেন। রামচন্দ্রের সঙ্গে আসিয়া লাল্টু প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করেন। ঠাকুর লালটুকে স্পর্শ করিলে তাঁহার জীবনের গতি অন্যদিকে প্রবাহিত হয়। লালটুর মন অন্য সব ভুলিয়া শ্রীরামকৃষ্ণের দিক ধাবিত হইতে লাগিল। রামচন্দ্রও লালটুকে প্রায়ই দক্ষিণেশ্বরে পাঠাইতেন। অবশেষে শ্রীরামকৃষ্ণ রামচন্দ্রের কাছ হইতে তাঁহাকে সেবকরূপে চাহিয়া লন। শ্রীরামকৃষ্ণের স্নেহময় মুখে লাটু বা নেটোতে পরিণত হইয়াছিল। ঠাকুরের শিক্ষা অনুযায়ী ধীরে ধীরে লাটুর আধ্যাত্মিক জীবন গঠিত হইতে থাকে। ঠাকুরের সন্ন্যাসী শিষ্যগণের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ঠাকুরের কাছে আসেন। সেইসময় হইতে ঠাকুরের মহাপ্রয়াণের দিন অবধি দীর্ঘকাল ঠাকুরের সেবা ও সঙ্গলাভ করিবার সৌভাগ্য লাটুর হইয়াছিল। শ্রীশ্রীসারদা দেবীর কাজে সহায়তা করিবার সুযোগও লাটুর জীবনে আসে। শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পরে লাটু সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। স্বামী অদ্ভুতানন্দ নামে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘে পরিচিত। নিজেকে কঠোর জপধ্যানে নিয়োজিত রাখিয়া এবং ভারতের বহু তীর্থ পরিভ্রমণ করিয়া তিনি শেষ জীবন কাশীতে অতিবাহিত করেন। অবশেষে ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দের ২৪শে এপ্রিল কাশীতে তিনি দেহত্যাগ করেন।