সত্যি
কি আমরা ঠাকুর কে বুঝতে পেরেছি ? হয়তো না। অষ্টদশ শতকে,বিশ্বের ধর্ম জগতে
যখন এক চরম অব্যবস্থার সৃষ্টি হয়ে ছিল, চার্লস ডারুইন, হাক্সলে,হারবারট
স্পেনসার প্রমুখ ধর্ম কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করতে শুরু করলেন, সমগ্র ভারতে
যখন বামাচার ও নানা কুৎসিত আচার, কর্তাভজা
প্রভৃতি মানুষের সমাজ জীবন কে বীভৎস করে তুলেছিল, তখন নুতন আশার বাণী নিয়ে
উদ্য় হলেন অখ্যাত বাংলার এক গ্রামে আমাদের প্রাণের ঠাকুর, অশিক্ষিত
দরিদ্র এই ব্রাহ্মন জগতের সামনে ধর্ম কে উপলব্ধি করার এক অভিনব
পন্থা।বস্তুত তিনিই ঘোষণা করলেন যে যাই ধর্ম অনুসরণ করুক না কেন প্রত্যেক
ধর্মের মুল লক্ষ্য এক, এবং সেই আখাঙ্খিত লক্ষ্য লাভে কারুকে তার নিজস্ব মত
বা ধর্ম কে পরিত্যাগ করতে হবে না। তিনি নিজে সকল ধর্ম কে উপলব্ধি করেই এই
সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন। তাঁর প্রদশিত পথে সবাই তাঁর নিজস্ব ধর্ম বজায়
রেখে অনুসরণ করতে পারে,হিন্দু হিন্দুতে থেকে, খ্রিস্টান খ্রিস্টানে থেকে
এবং মুসলমান মুসলমানে থে্কেই সেই ধর্ম অনুসরণ করতে পারে। নিজস্ব ধর্ম
পরিত্যাগ করার কোনও প্রয়োজন হয় না, না প্রয়োজন হয় সামাজিক আইন কানুন
পরিবর্তনের।
No comments:
Post a Comment